কাক ও কোকিলের দোস্তি


                    কাক ও কোকিলের দোস্তি

 



নামটা শুনে মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি বুঝি কাক আর কুকিলের মধ্যে দোস্তি হয়ে গেছে । আসলে কিন্তু তা নয়। বরং কাক আর কোকিলের রয়েছে চির শত্রুতা । তার কারন হল কোকিল পরভৃত বংশীয় কাক গণের এক প্রজাতি। পরভৃত বংশীয় বলে এরা নিজেরা বাসা বানায় না ,ডিমে ও তা দেয় না। সবটায় পরের ঘাড়ে চালিয়ে দেয় । এই সময়ে এদের চাতুর্য ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় মেলে । পাখিদের মধ্যে সব চাইতে চতুর যে কাক  তাকে ও একদম বোকা বানিয়ে ছাড়ে । পুরুষ কোকিল কাকের বাসার সামনে এসে এমন বিরক্তি সৃষ্টি করে যে কাক বাসা ছেড়ে ওর পিছু পিছু ধাওয়া কর‍তে বাধ্য হয় । কোকিল কাক কে এদিক ওদিক করে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায় , সে ফাকে স্ত্রী-কোকিল বা ছিট  কোকিল এসে খালি বাসায় ডিমটি ফেলে চলে যায়।

কাকদের থেকে তাল রেখে কোকিল দের ও প্রজনন কাল মার্চ থেকে আগস্ট , তবে মে থেকে

জুলায় মাসেই বেশি । কোকিলের ডিম হুবহু কাকের ডিম এর দেখতে । তবে তা আকারে একটু ছোট । এর রঙ সবুজাত, ধুসরের উপর লালচে । কোকিলের ডিম আগে ফোটে ১৩-১৪ দিনে ।পাতি কাকের ১৬-১৭ দিনে আর দাড়কাকের ১৮-২০ দিনে । আগে ফোটার জন্য খাদ্যের বড় ভাগ টা এদের জুটে বেশি । কাকের ছানারা উপোসী থাকে। এছাড়া ও দেখা যায় একটু বড় হয়ে বাইরে এলে বাড়তি খাবার স্ত্রী বাবা ছিট কোকিল এনে খাওয়ায় । এই সময়ে কোকিল ছানা কাকের ভাষায় কর্কস গলায় কা-আ-আ ডাকে । আশ্চর্য লাগে এই ছানা অবস্থায় কোকিল কাকের আনা পচা গলা মাছ মাংস , নাড়ি ভুড়ি ইত্যাদি  খেয়ে পরিপুষ্ট হয়  । কিন্তু কোকিল ছানা বড় হয়ে এই ধরনের খাদ্য খায় না ।  পাতি কাক বা দাড়কাকের বাসায় ডিম পাড়া ছাড়া ও কোকিল সময়ে সময়ে বেনে-বো ও শালিকের বাসাতে ও ডিম পেড়ে থাকে ।
                                                                       …..মোঃ আবদুল্লাহ আল মহিন


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url